হযরত নূহ (আ) ধর্ম ও ন্যায়ের পথে চলার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। এতে মাত্র চল্লিশ জন মানুষ সাড়া দেন । বাকিরা সবাই তাঁর বিরোধিতা শুরু করে নানা অত্যাচারে তাঁকে অতিষ্ঠ করে তোলে । এ অত্যাচারের মাত্রা সহনাতীত হলে তিনি একপর্যায়ে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানান। আল্লাহর হুকুমে তখন এমন বন্যা হয় যে, ঐ চল্লিশ জন বাদে সকল অত্যাচারী ধ্বংস হয়ে যায় ।

হযরত নূহ (আ) ধর্ম ও ন্যায়ের পথে চলার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। এতে মাত্র চল্লিশ জন মানুষ সাড়া দেন। বাকিরা সবাই তাঁর বিরোধিতা শুরু করে নানা অত্যাচারে তাঁকে অতিষ্ঠ করে তোলে। এ অত্যাচারের মাত্রা সহনাতীত হলে তিনি একপর্যায়ে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানান। আল্লাহর হুকুমে তখন এমন বন্যা হয় যে, ঐ চল্লিশ জন বাদে সকল অত্যাচারী ধ্বংস হয়ে যায়।

অর্ধ পৃথিবী করেছ শাসন ধুলার তখতে বসি

খেজুর পাতার প্রাসাদ তোমার বারে বারে গেছে খসি 

সাইমুম ঝড়ে। পড়েছে কুটির, তুমি পড়নি ক' নুয়ে, 

ঊর্ধ্বের যারা- পড়েছে তাহারা, তুমি ছিলে খাড়া ছুঁয়ে।

শত প্রলোভন বিলাস বাসনা ঐশ্বর্যের মদ 

করেছে সালাম দূর হতে সব ছুঁইতে পারেনি পদ।

শত্রুর প্রলোভনে পড়ে ইমাম হাসান (রঃ)-কে তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী জায়েদা বিষ প্রয়োগ করেন। মৃত্যুপথযাত্রী ইমাম হাসান (রঃ) বিষয়টি জানতে পেরেও তা গোপন রাখেন। তাঁর অনুজ বিষদাতার নাম জানতে চাইলে তিনি তাতে অস্বীকৃতি জানান এবং ভবিষ্যতে জানতে পারলেও তাকে ক্ষমা করতে বলেন।

বৃদ্ধ রজব আলির বাড়ির চাকর শহিদুল। একদিন মনিবের টাকা চুরি করে সে ছেলেকে বিদেশে পাঠায়। রজব আলির মৃত্যুশয্যায় শহিদুল অনুতপ্ত হয়ে তাঁর নিকট সব কথা খুলে বললে রজব আলি শহিদুলকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলেন, তুমি তোমার ভুল বুঝতে পেরেছ, এতেই আমি খুশি।

সমাজে অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদকের ভয়াবহ ব্যবহার দেখে কলেজ পড়ুয়া তিন যুবক আরমান, শফিক ও জব্বার যুবসমাজকে এর হাত থেকে বাঁচাতে সামাজিক আন্দোলন চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। কিছু ক্ষেত্রে তারা সফলতা পেলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদেরকে প্রবল বাধার সম্মুখীন হতে হয়। এমনকি শারীরিক নির্যাতনসহ অপমানিতও হতে হয়। তবুও তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যত বাধাই আসুক এ আন্দোলন তারা চালিয়ে যাবেই।

হযরত আবুবকর (রা.) হযরতের মহান বাণী শুনিয়ে শোকে মর্মাহত বিহ্বলিত মুসলমানদের বুঝিয়ে দিলেন তিনিও মানুষ, তিনিও মৃত্যুর অধীন।

আমাকে অলৌকিক দৃশ্য দেখাবার জন্য পৃথিবীতে পাঠান নি। মানুষকে শিক্ষা দেবার জন্য তিনি আমাকে পাঠিয়েছেন। কখনো বলতেন, এই পৃথিবীর মধ্যেই তো কত অলৌকিক বস্তু রয়েছে! ভালভাবে তাকিয়ে দেখ, কী আশ্চর্য পৃথিবী, আকাশ, নীরব আবর্তনশীল চাঁদ, সূর্য, তারকা, গ্রহ, উপগ্রহ। শুকনো মাটিতে বৃষ্টির ধারায় গাছপালার নতুন জীবনপ্রাপ্তি, বিশাল সাগর- তার বুকে ভাসমান জলযান। সমস্ত সৃষ্টিই তো তাঁর অলৌকিক চিহ্নে পরিপূর্ণ! দিন রাতের পরিবর্তন, নিদ্রা ও জাগরণের পদ্ধতি সব কিছুতেই তো আল্লাহর অলৌকিকতা প্রকাশ পাচ্ছে

সিরিয়া ভ্রমণ শেষ করে ওমর মদীনায় ফিরছেন। পথে মরু-প্রান্তরে একটি তাঁবু সম্মুখে পড়ে। তখনই উট থেকে নেমে ওমর তাঁবুর নিকট গিয়ে দেখলেন, একটি অসহায়া বৃদ্ধা মূর্তিমান হতাশার মতো বসে আছে। খলিফার মনে দয়ার উদ্রেক হলো। তিনি বললেন, ওমরকে তোমার অবস্থা জানাও না কেন? বৃদ্ধা উত্তর দিলে শুনেছি, ওমর সিরিয়া থেকে ফিরছে। কিন্তু আল্লাহর অভিশাপ তার উপর, সে আমায় এক দিরহামও সাহায্য পাঠায়নি। ওমর বললেন: এতো দূর বিয়াবান্ থেকে তোমার খবর ওমরের নিকট কি করে পৌঁছাবে? বৃদ্ধা পুনরায় অভিশাপ দিয়ে বলে: তবে সে খলিফা হয়েছে কেন? প্রত্যেক বাসিন্দার খবরাখবর যদি রাখতে না পারে, তার খলিফা সাজা কেন? ওমর অশ্রুবিগলিত কণ্ঠে বললেন: মা, ঠিকই বলেছ, ওমর মহা অপরাধী।